London Escorts sunderland escorts 1v1.lol unblocked yohoho 76 https://www.symbaloo.com/mix/yohoho?lang=EN yohoho https://www.symbaloo.com/mix/agariounblockedpvp https://yohoho-io.app/ https://www.symbaloo.com/mix/agariounblockedschool1?lang=EN
Home Blog

#কলম একাডেমি লন্ডন’ এর নতুন ইতিহাস। এর নাম দেয়া যায় “অক্ষরে অমরতা”।

0
#কলম একাডেমি লন্ডন’ এর নতুন ইতিহাস।
এর নাম দেয়া যায় “অক্ষরে অমরতা”।
💐
গতকাল ছিল কলম একাডেমি লন্ডনের আরেকটি ইতিহাস সৃষ্টির দিন।
ছবিতে আমি বিশ্ব বিখ্যাত সামাজিক সংগঠন আল কোরআন একাডেমী লন্ডনের পক্ষে লেখক এবং প্রকাশক হিসেবে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করছি।
তিনদিন ব্যাপী ইসলামি বই মেলা এবং সাহিত্য সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় ইস্ট লন্ডন মসজিদের কনফারেন্স হলে।
এখানে দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আমি আমার লেখা বেশ কয়েকটি আধ্যাত্মিক এবং মরমি সংগীত পরিবেশন করি। গতকাল দ্বিতীয় পর্বে আমি উপস্থাপক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছি। এখানে ‘কলম একাডেমি লন্ডন’- কে সুন্দর ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। হলে কলমের ব্যানার ছিল। আমার বুকে ছিল কলমের লোগো। অনেকেই কলম সম্পর্কে একান্তভাবেই খবরা-খবর নিয়েছেন। আমাদের সাথে কাজ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
এ আমার জীবনের জন্য বড় ধরনের আরো একটি স্বীকৃতি। তবে আমি মনে করি এ আমাদের শেষ আনন্দ নয়। আমি চাই এরকম পুরস্কার বিশ্বের সকল কবি সাহিত্যিক সাংবাদিকের হোক। তাঁরাও সম্মানিত হোক। সমাদৃত হোক। তাঁরা প্রতিষ্ঠিত হোক।
তাঁদের সুপ্ত প্রতিভা প্রকাশিত হোক।
পৃথিবীর সকল কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক সকল ধরনের কলম সৈনিক সুখে শান্তিতে থাক। বিশ্বে ‘লেখক মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠিত হোক। ১৮ সেপ্টেম্বরকে ‘বিশ্ব লেখক অধিকার দিবস’ ঘোষণা করা হোক। তখনই হবে আমার পুরস্কার প্রাপ্তির প্রশান্তি।
আমার সকল প্রাপ্তি, সম্মান, সনদ ও স্বারক আমার মা-বাবা-ভাই-বোন, স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে এবং বিশ্বের সকল কলম সৈনিকের হাতে নিবেদন করলাম।
এ আনন্দ আপনাদের।
এই আনন্দ বিশ্বের সকল কলম সৈনিকের। এ আনন্দ কলম একাডেমি লন্ডনের। লেখালেখি করে, লাইক কমেন্ট শেয়ার করে, পরামর্শ দিয়ে, দোয়া করে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে যাঁরা ‘কলম একাডেমি লন্ডন’কে বিশ্বে সম্মানিত করেছেন এ আনন্দ আপনাদের। এ সম্মান আপনাদের। এ ভালোবাসা আপনাদের জন্য রেখে গেলাম।
আজকের আনন্দের এ দিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা সম্মান ভালোবাসা আপনাদের জন্য। আপনাদের ভালোবাসার জয় হোক।
💐
আপনাদের শব্দস্বজন
নজরুল ইসলাম হাবিবী
৩০.১০.২০.২৩
লন্ডন।

#সুখে থাক #বিশ্ব নাহি থাক নিঃস্ব

0
নাহি থাক নিঃস্ব
💐
#নজরুল ইসলাম হাবিবী
😄💐
#শুভ হোক প্রতিসাল
প্রতিদিন ঘন্টা,
প্রতিপল অনুপল
প্রতিজন মনটা।
শুভ হোক সুখি হোক
জনগণ বিশ্বের,
ক্ষুধা রোগ নাহি থাক
আর কোন নিঃস্বের।
চলে যাক ধরা থেকে
অবিচার রণটা।
সুখে থাক পশুপাখি
সর্পরা সুখে থাক,
বাঘ বক এক সাথে
মিলেমিশে বেঁচে থাক,
রহিমেরও হয়ে যাক
রামফুলবনটা।
নাহি থাক দলে মতে
আর কোনো দ্বন্দ্ব,
নাহি থাক গাড়ি ঘোড়া
মিল কল বন্ধ,
চলে যাক মন থেকে
প্রতিশোধ পণটা।
পৃথিবীতে নাহি থাক
আর কোন যুদ্ধ,
নাহি থাক স্বাধীনতা
মানবতা রুদ্ধ,
চলে যাক চির তরে
সব উৎকন্ঠা।
সমতায় মমতায়
হবে এই ধরনী,
অক্ষরে অমরতা
হবে ভব তরণী।
গরীবের লাগি চাই
ধনীদের ধনটা।
পৃথিবীর কোনখানে
নাহি থাক কান্না,
ঘরে ঘরে ক্ষুধাতুর,
তব ঘরে পান্না!
আর না বিশ্বে
মৃতলাশ জনটা।
পুলকিত পৃথিবী
ধনে মনে ধন্য,
মানুষ মানুষ হবে
হবে না দাস পণ্য,
সুখে র’বে পৃথিবীর
সব ভাই বোনটা।
সুখি হোক মিনিটেরা
দিন মাস সনটা।
সুখি হই আমি তুমি
সেও প্রতি ক্ষণটা।
💐
২৬.১২.২০২২
লন্ডন।
রাত-৮ টা।
Northumberland Park
London.
নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাবার জন্য এটি লিখেছিলাম।
নীলফামারিতে শীতবস্ত্র বিতরণে লাইভে অংশ গ্রহণ,
চট্টগ্রামে কলমের অফিস উদ্বোধন, নতুন বর্ষে আমার রেকর্ডকৃত বক্তব্য, আমার স্ত্রীর জন্মদিন, তারপর আমার জন্মদিন- সব মিলিয়ে পোস্ট দিতে বিলম্ব হয়েছে।
লেখাটি আপনাদের জন্য।
আমি আমার জন্মদিনের অনেক পোস্টে এখনো কমেন্ট করতে পারিনি বলে দুঃখিত।
0
#হসপিটালে ভর্তি হইছে #আমার দশ আঙ্গুল।
😷
#নজরুল ইসলাম হাবিবী
🤭
হসপিটালে ভর্তি হইছে
ফেসবুকের আঙ্গুল,
হসপিটালে ভর্তি হইছে
আমার দশ আঙ্গুল (২বার)
সকল সময় সবার লেখায়
দেখি কেবল ভুল।।
হসপিটালে ভর্তি হইছে
আমার দশ আঙ্গুল।
কারো লেখা পড়ি না ভাই
লাইক কমেন্ট করি না তাই।
মাথার মধ্যে ক্রিমি এসে
করে গন্ডগোল।।
হসপিটালে ভর্তি হইছে
আমার দশ আঙ্গুল।
ভালো লেখা দেখি যখন,
বুকে ব্যথা পাই তখন।
সাধু সেজে শয়তান চেলা
মনে ফুটায় শূল।।
হসপিটালে ভর্তি হইছে
আমার দশ আঙ্গুল।
কলম ভাঙ্গে লিখতে গেলে
কিন্তু কারো লেখা পেলে,
ঝেড়ে লিখি বুকের যত
হিংসা মাখা ধুল।।
হসপিটালে ভর্তি হইছে
আমার দশ আঙ্গুল।
মনটি আমার মরা গরীব
চায় না শুনতে কারো তারিফ,
গায়ে পড়ে ঝগড়া করি
বাঁধাই হুলুস্থুল।।
হসপিটালে ভর্তি হইছে
আমার দশ আঙ্গুল।
হাসি খুশি থাকলে কেহ
জ্বলে দুঃখে আমার দেহ।
ঘুম আসে না, টেনে ছিড়ি
নিজের মাথার চুল।।
হসপিটালে ভর্তি হইছে
আমার দশ আঙ্গুল।
মনে আমার দুঃখ শুধু
বিষ হয়ে যায় খাঁটি মধু।
সাপের মতো দেখতে ভাবি
সূর্যমুখি ফুল।।
হসপিটালে ভর্তি হইছে
আমার দশ আঙ্গুল।
আঞ্চলিকতা জাতি ভেদে
সভ্য সমাজ গুমরে কাঁদে,
অবহেলায় ঝরে পড়ে
শত কলমফুল।।
হসপিটালে ভর্তি হইছে
আমার দশ আঙ্গুল।
হিংসা বিদ্বেষ নয় গো ভালো,
ভালোবাসার আলো জ্বালো,
প্রতিভাকে সম্মান করো
মূর্খ নজরুল।।
হসপিটালে ভর্তি হইছে
আমার দশ আঙ্গুল।
ফেসবুকের বন্ধু যত
গানটি পড়ে যথাযথ
দিন আমাকে মনের দাওয়া
পেরাসিটামুল।।
হসপিটালে ভর্তি হইছে
আমার দশ আঙ্গুল।
🦅
(লেখাটি প্রথম পুরুষে লেখা। আমার জন্য আমি লিখেছি। আপনারা জানেন এরকম কথা আমি প্রায় সময় বলে থাকি)।
১২.০৩.২০২৩
লন্ডন।

বিদেশে দেশীয় স্বাধীনতার স্বাদ

0
**
#বিদেশে দেশীয় স্বাধীনতার স্বাদ
**
#নজরুল ইসলাম হাবিবী
(লন্ডন, যুক্তরাজ্য থেকে)
স্বাধীনতা, একটি স্বাধীন দেশ ও একটি পতাকার কতটুকু মর্যাদা ও সম্মান বিদেশ থেকে অনুভব করা যায় বেশী।
এর প্রধানত: দুটি কারণ আছে বলে আমার মনে হয়। প্রথমত: দেশের জন্য মন টান, দেশের প্রতি ভালোবাসা, দেশের প্রতি স্বভাব সুলভ বা জন্মগত সম্পর্ক যার নাম স্বদেশ প্রেম। এ প্রেমের
কারণ, সেখানে যে মা, বাবা, ভাই, বোন, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধু-সুজন এবং ছেলেবেলার ফেলে আসা স্কুলের সহপাঠি, খেলার সাথীরা থাকেন।তাদের নিয়ে কত স্মৃতি, কত প্রীতি, তার কি কোন কিনারা আছে? না আছে শব্দে ছন্দে ব্যাখ্যা দেবার সুযোগ? না, নেই। এ মায়ার এবং মায়ের বন্ধনের নামই দেশপ্রেম, স্বাধীনতার প্রার্থনা।
দেশপ্রেম তখনই ফুলে ফলে সজ্জিত হয় যখন একটি দেশ স্বাধীন থাকে, দেশের একটি পতাকা থাকে।
অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধি থাক আর না থাক, মনে গর্ব থাকে যে, আমি একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাগরিক। আমার একটি পতাকা আছে।
স্বাধীনতার ধারণা অহংকারের আরেক নাম। বিশ্বে স্বীয় শীর সমুন্নত করে তুলে ধরার সীমাহীন গরিমার সোনালী দরজা। এ অহংকার হালাল, এ অহংকার স্বর্গে যাবার প্রতিযোগিতার সূচক-অধ্যায়।
আমার একটি স্বাধীন দেশ আছে- এ দরদ মাখা বাক্যের কোন তুলনা হয় না পৃথিবীতে। পুরো দুনিয়া এক ইঞ্চি স্বাধীন-ভূমির সমান নয়। এক খন্ড অধিন দেশ গোটা বিশ্বের জন্য ক্যনসার। যেমন প্যালেস্টাইন। আজ ৬৫ বছর ধরে এই ইস্যুতে সারা বিশ্ব দু্‌ই ভাগে বিভক্ত। মাঝ খানে স্বদেশহারা প্যালেস্টাইনীর ঝরছে রক্ত।
কারণ, পৃথিবী একক কোন সীমানার নাম নয়। পৃথিবীর অবস্থান কিছু দেশ বা মহাদেশকে নিয়ে। সাগর বা মহা সাগরকে নিয়ে। কিংবা পাহাড়- পর্বতকে নিয়ে।
পৃথিবীর সীমানায় স্রষ্টার সম্মতি আছে। তাই যে দেশের সীমানা নেই সে দেশ ‘পৃথিবী’র জন্য কষ্টের! যে নদী ধারা হারা, তার উত্তাল তরঙ্গে বাঁধা বিপত্তি সে নদী অসুস্থ। সে নদী ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া ছড়ায়; যা কিনা ‘পৃথিবী’র জন্য নিরানন্দের।
নদীর জল, জলের হাঁস, হাঁসের বাড়ি ঐ শ্যাওলাপনারও একটি জায়গা আছে, বিচরণ বা বয়ে যাবার মত সুযোগ আছে, এতটুকুন অধিকার বা সুযোগ অথবা স্বাধীনতা হাঁস ও শ্যাওলার না থাকলে হাঁস খাদ্যাভাবে, শ্যাওলা জল শুন্যতায় মারা যাবে।মানুষের স্বাধীনতা ঠিক একই রকম; তবে প্রায়োগিক বিচারে এর চেয়ে কিছুটা বেশী। কারণ, আমরা জানি, পশু, পাখি, শ্যাওলা ও শামুকের স্বাধীনতা সাময়িক বা অনেকটা ভাবলেশহীন। নন্দনতত্ব ও দর্শন-দেশনা সেখানে বেশী কাজ করে না। এদের বোধ-বিশ্বাস মানুষের মত তেমন প্রখর নয়। এদের চাহিদা জৈবিক ও ক্ষণিক। কিন্তু মানুষ সে সংকীর্ণ বা সংক্ষিপ্ত বিশেষনে আবদ্ধ নয়।
মানুষের প্রয়োজন বহুবিদ, চেতনা সুগভীর, চিন্তায় থাকে সম্পূর্ণ উদার উদাস করা স্বাধীনচেতা দ্বিতীয় আরেকজন, সে অনেক কিছু চায়। (অবশ্য, ‘অনেকপ্রাপ্তি’র নেশা অনেক সময় স্বাধীনতা কিংবা স্বাধীনসত্ত্বার পরিপূরক নয়)। ভাবে থাকে ভাষা, চাওয়ার থাকে অর্থময় ব্যঞ্জনা, বলছিলাম, মানুষের স্বাধীনসত্ত্বা, স্বাধীন চেতনা, স্বাধীন জীবন যাপন পশু- পাখি ও কীট পতঙ্গ থেকে বহুগুণে বেশী ও ব্যাপক।
দ্বিতীয়ত: স্বাধীনতা শুধু অর্থের নয়, আত্মার জন্যও চাই। অর্থের প্রশান্তি স্বর্গে নেয় না- আত্মার প্রশান্তি নেয়। আত্মার প্রশান্তি আসে সমাজ, সভ্যতা, সংস্কৃতি ও সাহিত্যের পূর্ণ পূত বায়ু-বাতাস অর্থাৎ সঠিক মানবিকতার প্রয়োগ বা চাষাবাদ থেকে। সমাজ বা সভ্যতা অসুস্থ হলে মন মনন আত্মা সুস্থ হয় না। বর্তমান বিশ্বের যুদ্ধ-বিগ্রহ জনপদের দিকে তাকালে উল্লেখিত কথাগুলির সত্যতার প্রমাণ মেলে।
লন্ডনে আমি চ্যারিটির পক্ষে এক রিফিউজি ক্যাম্পে কিছু দিন কাজ করেছি। আমি অনুসন্ধান করে অনুমান করতে পেরেছি যে, ইরাক ও প্যালেস্টাইনের এক শ্রেণীর মানুষ এখন তত সামাজিক নয়। মনে হয় লাশ আর রক্ত দেখতে দেখতে তারা আর নান্দনিকতার মানে খুঁজতে যায় না। একই কারণে, আফ্রিকার কতক মানুষের মন ও মগজ এতই দুর্বিসহ হয়ে আছে যে, কয়েক শত বছরের আমেরিকা দ্বারা দাসত্বের নির্মম বেদনা আজো যেন ভুলতে পারছে না তারা। তারা জানে তারা দাস ছিল-স্বাধীন ছিল না। সে অপমান, সে কষ্টের বোঝা এখনো তারা যেন বয়ে বেড়ায়, রাস্তায় রাস্তায় মানুষকে কয়ে বেড়ায়।
বলাবাহুল্য, ইংল্যান্ডের জনপদে এখনো কতক কালোদের দেখা যায়, যারা নিজে নিজে কথা বলছে, কাউকে কখনো উচ্চ গলায় কখনো নীচু কন্ঠে গালি দিচ্ছে অথবা অর্থহীন লক্ষ্যহীন রাগ করছে।
আজ সারা দুনিয়ায় অধিন মানুষের হাহাকার। আমরা যারা ইউরোপে আছি আমরা আরো বেশী করে যেন বুঝি স্বাধীনতার অর্থ, স্বাধীনতার মান ও মর্যাদা। কারণ, অস্বাধীন বা স্বাধীনতা হারা, স্বদেশ হারা মানুষের চোখের জল আমাদের বার বার বলে দেয় একটি স্বাধীন দেশ, সে দেশের পতাকা সে দেশের মানুষ কতনই না গর্বিত, সম্মানিত ও হরষিত।
আমি বাংলাদেশের নাগরিক। আমি ধন্য এক মানুষ আমার একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ আছে, আমার একটি পতাকা আছে। যে পতাকাকে খুঁজে বেড়াই ইউরোপের পথে প্রান্তরে, টিভির পর্দায়, খেলার মাঠে, শপিং সেন্টারের মালামালে, পোশাকের লগোতে।
আমি স্রষ্টার কাছে কৃতজ্ঞ যিনি আমাকে পৃথিবীর সব চেয়ে সুন্দর একটি দেশের নাগরিক করে পাঠিয়েছেন।
যাঁরা আমার দেশকে স্বাধীন করেছেন, বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন তাঁদের জন্য রইল অনন্ত শ্রদ্ধা।
আমার রচিত একটি কবিতার দুটি লাইন দিয়ে লেখাটি শেষ করতে চাই:
“স্বাধীন মানে একটি দেশের
বিশ্ব সভায় আসন”।
(কবিতার নাম: স্বাধীনতার মানে।
বই: স্বাধীনতা আগুন ফাগুন একুশ বিষ।
প্রকাশকাল: ২০১১)
**
২৫.০৩.১৭
লন্ডন।

I was a Muslim

0
I was a Muslim
I am a Muslim
I will be a Muslim
I wll die Insha Allah
as a Muslim
and I am proud
of being a MUSLIM-
Oh my Allah!
আমি মুসলিম ছিলাম,
এখনও মুসলিম আছি,
মুসলিম হয়েই থাকব,
যত দিন বাঁচি।
আমার মরণ হবে
হয়ে মুসলিম,
মুসলিম বলে
গর্বিত আমি
হে মহা মহিম!
**
21. 07. 16
লন্ডন।
#নজরুল ইসলাম হাবিবী

একটি মাটির কলমের কথা বলছি

0
মাটির জন্য কলম ধর
মাটির নামটি স্বর,
মাটির জন্য মরোরে মন মাটির জন্য মরো।
মাটির জন্য লিখো।
খাঁটির জন্য লিখো।
হে বিশ্বের কলমী বন্ধু!
তোমার বুকে হাত দিয়ে দেখো, কত মহাসাগরের শব্দকল্লোল। ভাববিপ্লব।
তারা বেরিয়ে আসতে চায়। বেরিয়ে আসতে দাও।
অনেক বড়, অনেক ভাব গম্ভীর কবিতা, গান, ছড়া বা প্রবন্ধ লেখার সময় তুমি অনেক পাবে। এখন আমাদের সমস্যা সম্প্রদায়ের ভুল ব্যাখ্যায়। আমাদের সমস্যা সমাজতত্ত্বের ডারউইনী চেতনায়। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ মহান ভাবুক। তারা লেখক। তারা সাধক। তারা কবি। পৃথিবীর সবাই কবি। কুকুর শুকরও কবি। গাছপালা লতাপাতাও কবি।
মানুষ হিসেবে তুমি বড় কবি। তাই তুমি পৃথিবীর দুঃখ কষ্টের বড় অংশিদার।
একটি শব্দে বা একটি লাইন লিখে বল তুমি সুন্দরের সাধক, তুমি মানুষকে সম্মান করতে জান, তুমি সমাজের সদস্য, তোমার একটি দেশ আছে, একটি পতাকা আছে, একটি জাতীয় সঙ্গীত আছে। সঙ্গীত পরিবেশনের সময় তোমার বুকে স্পন্দন জাগে। এই কথাটিই প্রকাশ হোক তোমার লেখায়- মানুষের কল্যাণে।
তুমি জান না মনে হয়, দেশের মানুষ গানে- কবিতায় এখন ভাত খুঁজে- ভাব নয়। পাত খুঁজে, জাত নয়।
হে শাসক! গণতন্ত্র ফ্যাক্টর পরের শিক্ষা দিও, আগে আমাদের পেটতন্ত্রের অধিকার চাই।
তন্ত্র-মন্ত্রে কী লাভ আমার/ ভাত দে আগে পেট ভরিয়া/ বহু তন্ত্রের অত্যাচারে/
মানবতা যায় মরিয়া।
হে মানুষ! পৃথিবী এখন দুই শক্তিতে বিভক্ত -পরাশক্তি ও মরাশক্তি। পরাশক্তির দল ভারী নয়। তারা অত্যাচারী। নিউক্লিয়ার হাতে নিয়েও তারা ভীরু। কারণ তারা অসত্যে অসৎ। মরাশক্তিই পরমশক্তি হবে তোমার কলমের কোমল পরম আঘাতে আঘাতে। শুধু তুমি মাটির দিকে তাকাও, দেখবে সহস্র ‘কলমসর্প’ শাপলা হয়ে আকাশের দিকে উত্থিত। একে বিষয় কর। জীবন বিস্ময় করো। বিশ্ব জাগাও। কলম ধরো।
লিখ। কোটি ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য লিখ। তোমার মননশীলতার দায়িত্ব পালন কর। অস্তিত্বের ঘোষণা দাও। ব্যক্তিত্বের ফায়সালা হবে আজ। এই তো মনুষ্যত্বের জমিন। আমরা এখানে ‘মানবায়ন’ করব। পৃথিবীতে মানুষের চাষ হবে। পৃথিবীর সবাই মানুষ হবে। মানুষের জন্য সৃষ্ট এই সমাজে সৃষ্টির এক ইঞ্চিও আর অনাবাদি থাকবে না,- সর্বত্র ‘মানববৃক্ষ’ রোপন করা হবে।
মানবায়ন হবে আকাশে গ্রহে নক্ষত্রে পাতালেও।
মনের ফুল নিয়ে অনেক কবিতা হয়েছে, এবার বনের ফুল নিয়ে কবিতা চাই। বনের হিংস্র প্রাণীকে কবিতা শোনাবো। তারা কবিতা শিখুক। তখন অত্যাচারীর বাড়িতে ঘাড়ে বাঘেরাই কবিতার মর্মবাণী পৌঁছাবে।
তোমার শব্দফুল সাধনার নয়, নয় দেব-বলীর জন্য, এ ফুল হবে সহজ প্রাপ্য- সবার জন্য, পথের উলঙ্গ শিশুটির জন্য। শিশুটি চাওয়া মাত্র ফুলটি হাতে তুলে নেবে, কোন রকমের পুলিশ শালিস ছাড়া।
আমি একটি মাটির কলমের কথা বলছি। অনেক অনেক কালির বিনিময়ে একটি পবিত্র হাসির কথা বলছি সম্ভবত।
আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাব-গম্ভীর লেখায় অনেক সময় ভেলায় ভেসে গেছে! এই ভেলাতে ভেসে বেড়ায় আমাদের পেটের হাহাকার!
ও কীসের কবিতা? কার জন্য তপস্যা প্রিয়তম? ওই আকাশির কথা বাদ দিয়ে মাটিতে ফিরে আসো।
জান, জগতে ব্যক্তিগত কোন সাধনা নেই। আরাধনা আছে। আরাধনা একান্ত হওয়া যৌক্তিক। তার প্রয়োজনও আছে। সাধনা সার্বজনীন। যে সাধনায় সর্বসাধারণ নেই, সমাজ নেই, মানুষ নেই, সে সাধনা প্রতারণা। আরাধনা অনেকটা ব্যক্তিগত হলেও সর্বভূতেষু শক্তিরূপেন।
আমাদের অলি বা হিন্দুদের অনেক সাধু-সন্যাস ব্যক্তি এবং বস্তু পূজারী নন। তাঁরা বিশ্ব সৃষ্টির জন্য, অন্য কথায় মানুষের দুঃখ লাগবে আত্মত্যাগ করে তুষ্টি লাভ করেছেন। সাকার বা নিরাকার যাই বলি না কেন, তাঁরা ইবাদত, পূজো বা প্রার্থনা করে করে পূজিত হয়েছেন।
তুমি আমি তো ধূলিবৎ!
মনে রেখ, অসুস্থ এ বিশ্ব তোমার ব্যক্তিত্বের পরীক্ষা নিচ্ছে, বার বার তোমাকে ধাক্কা দিয়ে জানান দিচ্ছে, ওঠো, জাগো, তন্দ্রামুক্ত রও। উত্তীর্ণ হও ।
সৃষ্টির বিচারে কলমের অধিকার আছে- নিত্য হিত্য সাহিত্য।
তোমার কলম বৈশ্বিক হবে।
হে তরুণ!
জীবনে অনেক অনেক লিখেছ, এবার গৃহ হারা এতিম ঐ ছেলেটির জন্য লিখ।
কালি, কলম, জ্ঞান, গান, প্রাণ, প্রজ্ঞা, চিন্তা ও চেতনা সৃষ্টি সাধনায় আত্মশু‌দ্ধি‌তে বিলিয়ে দাও। তোমার আমার স্রষ্টা ওখানে জেগে আছেন। তাই আয়াতুল কুরসিতে আছে, স্রষ্টা ঘুমান না। তাঁর তন্দ্রাও আসে না।
আমাদের এশিয়া মহাদেশে প্রচলিত ওয়াজিফায় দরুদের নামে কিছু কথা আছে। সেখানে বলা হয়েছে –
“ওয়াল বাহরু,ওয়াশ সাজারু লা ইনাম,
কুম কুম ইয়া হাবিবী,
কাম তানাম”?-
সাগর বৃক্ষ ঘুমায় না,
জেগে উঠ, জেগে উঠ হে বন্ধু,
আর কত ঘুমাবে?
এখানে রাত জাগার কথা বলা হচ্ছে না। ব্যক্তিসত্তা, মননশীলতা বা চিন্তা চেতনা যাদের মরে আছে তাদের কথা বলা হচ্ছে। স্রষ্টা নিচের আসমানে ‘আমি’ হয়ে আসেন। আর তুমি
তোমার ‘তুমি’
হারিয়ে অপেক্ষা কর নরকের নোংরা খেতে।
শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ কথামৃতে আছে :
“কিবা, অনুপমভাতি, মোহনমুরতি ভক্ত-হৃদয়-রঞ্জন।
নবরাগে রঞ্জিত
কোটি শশী বিনিন্দিত;
কিবা বিজলী চমকে সে রূপ আলোকে, পুলকে, শিহরে জীবন।”
(শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ কথামৃত
শ্রীম-কথিত।
পৃষ্ঠা:৩৫
অখন্ড সংস্করণ।
প্রথম প্রকাশিত:19983)
খুশির কথা এই বিশাল বইটি আমার সংগ্রহে আছে।
**
নজরুল ইসলাম হাবিবী
লন্ডন।
05. 10.’18

#বিশ্বের প্রতি

0
#বিশ্বের প্রতি
💐
নজরুল ইসলাম হাবিবী।
*
চিঠিখানা রেখে গেলাম তোমাদের হাতে।
শব্দনক্ষত্র নেমে এলে
নব বাণী নিয়ে
স্বাগত জানাবে, না হলে তোমরা জ্বলো চাঁদের মতন।
চাঁদ ছন্দ হবে কথা দিয়েছিলো,
তা না হলে, তোমরা কবিতা লিখে নিও, প্রয়োজনে ভুল বানানে।
সূর্যকে তূর্য হতে বলেছিলাম আজীবন।
যদি না শুনে লক্ষ কোটি লেখকের কথা,
তোমরা কাগুজে ফুলের কবিতা লিখিও।
যে ফুল শুধু বুঝে চুল, নারীর খোপা, প্রেম শ্যাম ভালবাসা মোহ মুগ্ধরূপ!
কারো রক্তে হাসে যদি পরী পারিজাত,
শোভা বাড়ায় হিটলার করে
সেই ফুল নাহি দিও আমার কবরে।
পাঁচ কোটি বছর পূর্বে
আকাশ ও মেঘের সাথে কথা হয়েছিলো জাম্বেজি পারে,
উল্কারা ঝরেছিলো মানুষের মিছিল হয়ে;- আকাশের মানবিক মশাল।
সভ্যতা কৃষ্টি সৃষ্টির প্রথম ধারাপাত।
বলেছিলো নির্যাতিত হবে না কোন মানুষের হাত।
আজ যদি হয় তা সভ্য কোন দেশে, হোবাকে বলে দিও
বারুদ বোমা হতে,
হতে বজ্রপাত।
ধ্বংসের পর
কলমিপৃথিবী গড়া শুরু হবে ফের,
নতুন বিশ্ব হবে সব লেখকের।
এ বিশ্ব নিঃস্বের হবে
সাহিত্যের সাম্য বিধান,
কাল যদি চলে যাই তোমরা গেয়ে যেও কলমির গান।
💐
১৮.০৭.২০২৩
লন্ডন।

TRENDING RIGHT NOW